হে বসন্ত
– দীপঙ্কর বিশ্বাস
আধো আধো শীতে উত্তরের হাওয়া,হেলেঞ্চা মালঞ্চ মাটিতে সবুজ মেয়ে,বসন্ত জেগেছে আঁটোসাটো শরীরে।
তরুণী হিম্মত খোঁজে পলাশের রঙে,কৃষ্ণচুড়া আকাশে বেকার তরুণ, নবপরিচয়ে যেন রজনীগন্ধার সাজ।
বসন্তের মেলায় দুটি মন যেন একটি নদী, নারী তুমি মণিকণা হও আর একবার এই বসন্তে, সব ছেড়ে মরে যাও বীরত্বে যমুনার তীরে।
চাঁপা ফুলের গায়ে হয়ত একটু বেশীই হলুদ সকাল, আজান দেওয়ার আগে কোকিলের ডাক।
চাল নেই চুলো নেই হরবোলা পাখির সুখ কত!
লজ্জা শরমের বালাই নেই ক্ষিদেরা গর্ভবতী গাই,বসন্তের আগমনে নিস্তেজ ইচ্ছেগুলো পেল না ঠাঁই !
ঘাস আর বিচুলিতে বসন্ত উৎসব সোনার বাংলায় চিরন্তন একমুখি ঘরে।
মাদার গাছের বুকে আশা নিয়ে ফুল ঝরে যায় প্রতিদিন, লাল লাল ফুল– তুলো বুকে নিয়ে আশা বাঁধে, যাপনের আশারা সব তুলোর মতো অনিশ্চিত ভবিষ্যতে ওড়ে।
লাল কালিতে চিঠি লিখে গেছে সংগ্রামী প্রেমিক — বিকেলের ফুটন্ত যৌবনে, বড় পরিবর্তন এই বসন্তে হবে এক নির্বিকার দেখা,
কর্ণের মাতৃভক্তি নিশ্চিত হবে বৃথা আরো একবার একালব্যকে এখনো চিরবসন্ত মাতব্বরের দরকার।
বসন্তের দোল পূর্ণিমায় ছোট ছোট ঘরে দাউ দাউ আগুনে সময় পুড়ছে,ভবিষ্যতের দাবদাহ অপেক্ষায়,
বসন্তের চির সবুজ আস্ফালন জ্বলে ওঠে ধীরে,শুকনো পলাশের জৌলুস হীন জীবনে——-
এই বসন্ত যেন কখনো আর না আসে, ঝলসানো চাঁদে গদ্যের মতো বসন্ত দাগ।হে জীবন ঝরা পাতার পরে বসন্তে এসো — শেষ পর্যন্ত পলাশ শিমুল ছুঁয়ে ছুঁয়ো।
চিমনিতে ধোঁয়াহীণ—- কাক-শুকুনের বিষ্ঠা,শ্রমিকের ভুতুরে ঘর একরাশ কন্ডোমের শ্রষ্ঠা,ছড়ানো রংবেররঙের বোতলে অনেক ঢঙ লটকে,মেহনত আর মেহনতী পুড়ছে দাবানল চিতাকাঠে।
লোহার হাতুড়ি এখনো বসন্তের প্রত্যাশী,বোরো ধান পেকে পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে হবে দড়ি,অকাল মৃত্যুর দাওয়ায় ফুলদলের নিমন্ত্রণ,অনেক ফুলই ফুটল না আমরণ,
বসন্ত আসবেই কাল —
ঘাস ফুলের আকাশ রেঙে হবেই সকাল।